,

মাধবপুরে মাদ্রাসা ছাত্রী ইয়াছমিনের মৃত্যু: প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটনে একাধিক বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে পুলিশ

মোহা. অলিদ মিয়া ॥ মাধবপুরে মাদ্রাসার ছাত্রী ইয়াছমিন(১৪) এর মৃতে্যুর সঠিক কারন উৎঘাটনে পুলিশের তৎপরতা অব্যহত রয়েছে। গতকাল সোমবার তদন্তের স্বার্থে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সন্ধিগ্ধ এক সিএনজি চালককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন নিশ্চিত করেছেন। সড়ক দূর্ঘটনা, সিএনজির ভিতর ঘটে যাওয়া কোন ঘটনা, প্রেম ঘঠিত কিংবা দুর্বৃত্তায়নের বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্তকাজ চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ঘটনাস্থলসহ সন্ধিগ্ধ সকল স্থানে একাধিকবার পুলিশের একাধিক পরিদর্শক নিয়ে পরিদর্শন করে মূল রহস্যে বের করতে সোচ্চার। সুরতহাল রিপোর্টে ধর্ষনের কোন আলামতের উল্লেখ না থাকলেও তদন্তে তাতেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিকালে বহরা ইউনিয়নের মেরাশানী গ্রামের মৃত নুর হোসেনের মেয়ে মনতলা ইসলামিয়া মহিলা মাদ্রাসার ছাত্রী ইয়াছমিন আক্তার(১৪) তার তিন সহপাঠি বান্ধবী সাদিয়া, সুমাইয়া বেগম ও সুমাইয়া আক্তারের পূর্ব মেরাশানী গ্রামে বেড়াতে যায়। কিন্তু পরদিন সকাল অনুমান সাড়ে ৮টার দিকে তার বাড়ি প্রায় দুইশ গজ মাধবপুর-মনতলা সড়কে একটি সিএনজি থেকে ইয়াছমিনকে ফেলে দিয়ে দ্রুত গতিতে চলে যায় বলে পার্শ্ববার্তী নজরপুর গ্রামের মুতি মিয়ার ছেলে ফেরিওয়ালা অনু মিয়া জানায়। অনু মিয়ার চিৎকারে মেরাশানি গ্রামের কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী আব্দুর রউফসহ আশপাশের লোকজন এসে ইয়াছমিনকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ লাশ হেফাজতে নিয়ে ওই দিন ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করলে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ বিষয়ে এখনো কোন মামলা হয়নি বলে জানা যায়। ঘটনার পর থেকেই পুলিশ মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে কাজ করে যাচ্ছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে এটি হত্যা কি না নিশ্চিত হওয়া যাবে।


     এই বিভাগের আরো খবর